প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো সিমলাগড় কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে মঙ্গলবার প্রচার করেন হুগলি লোকসভার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সিমলাগড়ের চাপাহাটি এলাকায় রাধাকৃষ্ণ মন্দিরেও পুজো দেন তিনি। পরে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে উঠোনে চা বিস্কুট খান কর্মীদের সঙ্গে। এক শিশুকে কোলে নিয়ে বিস্কুট খাইয়েও দেন। ভোটের প্রচারে প্রায় নানা রূপে দেখা মিলছে প্রার্থীদের। 

অন্যদিকে, গত কয়েকদিন আগেই সিমলাগড় কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে পান্ডুয়ায় প্রচার শুরু করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সময়ের অভিনয় জগতের সতীর্থ রচনা সম্বন্ধে লকেট বলেন, ‘রাজনীতিতে আসতে গেলে ত্যাগ করতে হয়। আমি দশ বছর সব কিছু ত্যাগ করে এসেছি। টিকিট না পেয়ে শুধু মানুষের জন্য সেবা করুক এসে। ত্যাগ করেই আমি এসেছি।’

যে কর্মীর বাড়িতে চা পান করেন লকেট সেই সুকদেব মন্ডলের মাটির ঘর। লকেট বলেন, বিজপি কর্মী বলে তার আবাস যোজনার ঘর হয়নি। আর তৃণমূল নেতাদের বড় বাড় বাড়ি হয়েছে। হুগলি জেলা তৃণমূলের সম্পাদক অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি থেকে ইনকামের চিন্তাভাবনা নেই। ওনার পেশাকে উনি সম্মান করেন। আমরাও চাই না কেউ তার পেশাকে জলাঞ্জলি দিয়ে রাজনীতি করে বেড়াক। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই চুঁচুড়ায় বাসা ভাড়া নিয়েছে। সেখানেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসছেন এবং তিনি যেটা বলেছেন নির্বাচন মিটে গেলেও তিনি থাকবে।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার আগে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ভেবে দেখা উচিত তেরো লক্ষ বাড়ির অনুমোদন দেওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার কেন টাকা আটকে রাখল। টাকা আটকে রাখার জন্য গরিব পরিবারগুলো বঞ্চিত হয়েছে। আজকে যারা মাটির বাড়ি বা টিনের বাড়িতে আছেন বিজেপি নেতাদেরই দেখা উচিত কেন তারা ঘর পেলেন না। মানুষের সেবার জন্য আসেননি, টিকিট পেয়েছেন তাই এসেছেন। হেরে যাবে আবার দিদি নম্বর ওয়ান চলবে। ছুটি নিয়ে এসেছেন কয়েকদিনের জন্য। এদিন প্রতিপক্ষ সম্বন্ধে কটাক্ষ লকেটের।  অন্যদিকে, তৃণমূলের পাল্টা দাবি, রাজনীতিতে ইনকাম করতে আসেননি, তৃণমূল প্রার্থী ভোটের পরেও থাকবেন হুগলিতে।