ট্রাভিস হেডের পর ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালালেন অভিষেক শর্মা ও হেনরিখ ক্লাসেন। তাদের পঞ্চাশোর্ধ রানে রেকর্ড সংগ্রহ পায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা দারুণ হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। ম্যাচজুড়ে লড়াই করেন তিলক ভর্মা, নামান ধির ও টিম ডেভিড। তবে তিলক ছাড়া বাকিরা খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। এতে হারতে হয় মুম্বাইকে।ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) অষ্টম ম্যাচে হায়দরাবাদের জয় ৩১ রানে। রাজিব গান্ধি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় মুম্বাই। আগে ব্যাট করতে নামা হায়দরাবাদ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান সংগ্রহ করে। আইপিএলের কোনো আসরে এটিই সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ২০১৩ আসরে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ২৬৩ রান ছিল সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

রান তাড়ায় নেমে তিলক-ডেভিডের ব্যাটে ভালো রান পেলেও তা যথেষ্ট হয়নি মুম্বাইয়ের জয়ের জন্য। ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রানে থামতে হয় তাদের।

আগে ব্যাট করতে নেমে বিধ্বংসী শুরু করেন ট্রাভিস হেড। যদিও অপরপ্রান্তে ১১ রানে উইকেট হারান হায়দরাবাদ ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তবে তাণ্ডব চালাতে থাকেন হেড। স্রেফ ১৭ বলে ফিফটি স্পর্শ করা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার অবশ্য থামেন ৬২ রানে। ২৪ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। তিনে নামা অভিষেক শর্মাও একইভাবে ব্যাট চালান। তিনি পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ১৬ বলে। একাদশ ওভারে বিদায় নেওয়ার আগে খেলে যান ২৩ বলে ৩ চার ও ৭ ছক্কায় ৬২ রানের ইনিংস।

চতুর্থ উইকেটে ঝড়ো ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন হেনরিখ ক্লাসেন ও এইডেন মার্করাম। ৫৫ বলে ১১৬ রানের বিধ্বংসী জুটিতে দলকে এনে দেন রেকর্ড সংগ্রহ। ছাড়িয়ে যান রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ২৬৩ রানের সংগ্রহ। ৩৪ বলে ৪ চার ও ৭ ছক্কায় ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন ক্লাসেন। মার্করাম খেলেন ২৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রানের ইনিংস।

রান তাড়ায় নেমে হায়দরাবাদের মতো ঝড়ো শুরু করেন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ইশান কিশান। ২০ বলে তাদের ৫৬ রানের দারুণ এই জুটি ভেঙে দেন শাহবাজ আহমেদ। ১৩ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন কিশান। ১২ বলে ২৬ রান করে উইকেট হারান আরেক ওপেনার রোহিত। তাদের বিদায়ের পর ব্যাট চালাতে থাকেন নামান ধির ও তিলক ভর্মা। ২৪ বলে তিলক পঞ্চাশ পূর্ণ করার পর ১৩ বলে ৩০ রান করে বিদায় নেন নামান ধির।

পাঁচে হার্দিক পান্ডিয়া ব্যাট করতে নামলে কমে যায় রানের গতি। যদিও তিলক খেলতে থাকেন আগের গতিতে। তবে ৩৪ বলে ২ চার ও ৬ ছক্কায় ৬৪ রান করে তিনি উইকেট হারান। শেষদিকে পান্ডিয়া ২৪ রানে বিদায় নিলে লড়াই চালান টিম ডেভিড। তবে তার ২২ বলে অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংস কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে।