এলডিসি উত্তণের পর সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ২০২৬  সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশন হবে। এখন থেকে এ নিয়ে কাজ করতে হবে। সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নে অল্প টাকা দিলে কাজ শেষ হবে সেসব প্রকল্প দ্রুত বরাদ্দ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান। 

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। এটি চলতি অর্থবছরের ৮ম সভা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার, কৃষি, পানি ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য আবদুল বাকী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. মোহাম্মদ ইমদাদউল্লাহ মিয়ান।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বিষয়ে সত্যজিত কর্মকার বলেন, মিশরে যে চ্যান্সারি ভবন তৈরি হবে সেখানে প্রবাসীদের জন্য ওয়েটিং রুম, ওপেন স্পেস এবং বুথ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, প্রবাসীরা সেবা নিতে যেন কোনো কষ্টের শিকার না হন। বেশি ভিড় হলে একাধিক বুথের মাধ্যমে সেবা দিতে হবে। 

এছাড়া কুড়িগ্রামের উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে তিনি বলেছেন, বড় প্রকল্পের সঙ্গে রাস্তা, ব্রিজ ইত্যাদি যুক্ত করার ক্ষেত্রে কুড়িগ্রামকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কেননা ১৬টি নদ-নদী বেষ্টিত কুড়িগ্রাম জেলায় নদী ভাঙনে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশের অন্যতম দরিদ্রতম জেলা হচ্ছে কুড়িগ্রাম। এছাড়া সারা দেশে  ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই  সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় নির্মিত ভবনগুলোতে বৃষ্টির পানি ও সোলার প্যানেল বসাতে হবে। তাঁত বোর্ডেও একটি প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এর আওতায় অনুষ্ঠেয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।