চারুকলার ছাত্র থেকে পাহাড়ের ত্রাস, দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার এই সংবাদে বলা হয়েছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করা ছাত্র নাথান একসময় বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও এখন তিনি পাহাড়ের ত্রাস হয়ে উঠেছেন।
কারণ তিনি এখন বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) নেতা।
এই খবরে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমাকে টেক্কা দিতেই মূলত নাথান বাম সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। অথচ খাগড়াছড়ির চেঙ্গী স্কয়ারের পাশে সন্তু লারমার ভাস্কর্যটির অন্যতম কারিগর তিনি।
এদিকে নাথান বমকে সুস্থ জীবনে চান স্ত্রী। আজকের পত্রিকাকে তার স্ত্রী লেলসমকিম বম বলেন, নাথানের সঙ্গে তার তিন বছর ধরে যোগাযোগ নেই। তিনি এখানে (বাড়ি) আসেন না।
২০০৯ সালে নাথানকে বিয়ে করেন লেলসমকিম। বিয়ের পর বেশিরভাগ সময়ই নাথান বিদেশে, বিশেষ করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থাকতেন। কারণ সেসব দেশে তার প্রদর্শনী হতো।
কিন্তু পরবর্তীতে নাথান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পোড়েন এবং সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবী করেন নাথানের স্ত্রী। তিনি বলেন, স্বামী কখনও এ বিষয়ে তাকে কিছু বলেননি। তবে “আমি চাই, আমার স্বামী সুস্থ জীবনে ফিরে আসুক। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, তার যাতে কিছু না হয়।”
রাতে থানচির পর আলীকদমেও হামলা, এটি প্রথম আলো’র প্রথম পাতার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়, বান্দরবানের দুই উপজেলায় ১৭ ঘণ্টার মধ্যে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী।
সর্বশেষ গভীর রাতে আলীকদমেও একটি তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হয়েছে। এই দুই ঘটনায় পুলিশের কোনও সদস্য হতাহত হননি।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন বলেন, রাত সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত গোলাগুলি হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, সন্ত্রাসীরা থানার আশপাশে রয়েছে। এ জন্য আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।” কতটি গুলিবর্ষণ হয়েছে—এ প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, এখনও গণনা করা হয়নি। তবে ৪০০ থেকে ৫০০টি হবে।”
উল্লেখ্য, এই খবরটি প্রথম আলো সহ দেশের প্রায় সব পত্রিকায় প্রধান খবর হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে।
কেএনএফের সাথে সব সংলাপ বন্ধ, এটি নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। এতে বলা হয়, সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সাথে সব আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছে শান্তি কমিটি।
‘বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের মধ্য দিয়ে কেএনএফ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে তাদের সাথে আর সংলাপ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’
বৃহস্পতিবার বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
গত দোসরা এপ্রিল তারাবিহ’র নামাজিদের ওপর হামলা, মানুষকে জিম্মি, ব্যাংক লুট ও অপহরণ, পুলিশ ও আনসারের অস্ত্র লুট, গুলিবর্ষণ সহ কেএনএফ’র করা নানা কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান তিনি।
কেএনএফকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছরের নয়ই জুন স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের মধ্যে কয়েক দফা ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পর সংলাপ বা আলোচনায় বসার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
থমথমে বান্দরবান, ম্যানেজার উদ্ধার— এটি মানবজমিন পত্রিকার প্রথম পাতার একটি খবর। এখানে বলা হয়, বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখা লুট করার সময় অপহৃত ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে র্যাবের মধ্যস্থতায় উদ্ধার করা হলেও বান্দরবানের তিন উপজেলায় এখন ব্যাংক লেনদেন বন্ধ রয়েছে।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফের তাণ্ডব ও ২৪ ঘণ্টারও অনেক কম সময়ের মাঝে দুই সরকারি ব্যাংকের তিন শাখায় লুটের পর বান্দরবানে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ব্যাংক ডাকাতির পদ থেকে বান্দরবান জেলা জুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকলেও দুইদিনেও লুট হওয়া অস্ত্রের হদিস মিলেনি। এছাড়া, ম্যানেজারকে উদ্ধার করলেও রুমা ও থানচির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কাউকে এখনও আটকের তথ্য জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
দেশ রূপান্তর পত্রিকার আরেকটি খবর হল— করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব। এতে বলা হয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও নিম্ন আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি- এফবিসিসিআই।
এছাড়া, ব্যবসায়ীদের ওপর থেকে করের বোঝা কমানো, আমদানি করা কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্যসহ শিল্প উপকরণের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর (এআইটি), আগাম কর (এটি) প্রত্যাহার, ব্যাংক ঋণের সুদহার হ্রাসসহ রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় অটোমেশন বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
৩০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্কতা— এটি কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রথম পাতার একটি খবর। এতে বলা হয়েছে যে বর্তমানে দেশে ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হলেও বৈধ উপাচার্য আছে মাত্র ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের। অর্থাৎ বাকি ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় বৈধ উপাচার্য ছাড়াই শিক্ষার্থীদের সনদ দিচ্ছে।
উচ্চশিক্ষা তত্ত্বাবধানকারী কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বরাত দিয়ে (ইউজিসি) এতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দেওয়া একাডেমিক সনদের স্বাক্ষরকারী হবেন রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত বৈধ উপাচার্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
এক্ষেত্রে বৈধ উপাচার্য ছাড়া সনদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সতর্ক করা হয়েছে।
দুর্বল ব্যাংক স্বেচ্ছায় না এলে বাধ্যতামূলক একীভূতকরণ—সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতার একটি খবর এটি। এতে বলা হয়, এক বা একাধিক ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত হতে পারবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে খারাপ অবস্থার ব্যাংক এক না হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধ্যতামূলক একীভূত করতে পারবে।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি হওয়া ব্যাংক একীভূতকরণ নীতিমালার নির্দেশনা অনুযায়ী, এক্ষেত্রে দুই ব্যাংক এক করার আগেই নগদে পাওনা পরিশোধ করা হবে।
এছাড়া একীভূত হওয়া দুর্বল ব্যাংকের এমডি ও ডিএমডি চাকরি হারাবেন। পরিচালকরা পাঁচ বছর অন্য কোনো ব্যাংকে পরিচালক হতে পারবেন না।
রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্রে লুটপাটের চেষ্টা, এটি ইত্তেফাক পত্রিকার প্রথম পাতার একটি প্রতিবেদন, যেখানে বলা হয়েছে, যে ডাকাতদল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঢুকে লুটপাটের চেষ্টা করেছে, তাদেরকে বাধা দেওয়ায় তাদের হামলা পাঁচ নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মঙ্গলা হারিন্দ্রান বলেন, “রাতে পশুর নদী দিয়ে একটি নৌকা যোগে ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি ডাকাত দল সীমানার তারকাঁটার বেড়া কেটে ভেতরে ঢুকে মালামাল লুটের চেষ্টা করে। এসময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য ও নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।”
Govt repaying foreign debt by borrowing: CPD বা ঋণ করে বিদেশি ঋণ শোধ করছে সরকার: সিপিডি। এটি দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রথম পাতার একটি খবরের শিরোনাম।
এখানে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডি’র বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে এখন ঋণ নিয়ে বিদেশি ঋণ পরিশোধে করতে হচ্ছে। কারণ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়, তা ঋণ পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত না।
বৃহস্পতিবার সিপিডি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণ এবং পরিশোধের সক্ষমতা: উদ্বেগের কারণ আছে কি?’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সিপিডির ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বিদেশি ঋণ এবং ঋণ সেবার দায় বাড়ছে, যা উদ্বেগের বিষয়। আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে।”
ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধের এই খবর আজ দেশের সব গণমাধ্যমের প্রথম পাতায় এসেছে।
খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির সবচেয়ে বড় প্রভাবক স্বাস্থ্য ব্যয়, এটি বণিক বার্তা পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এই খবরে বলা হয়েছে যে গত এক বছরে রোগ নির্ণয়ে করা বিভিন্ন পরীক্ষার ফি কমপক্ষে ১৫ শতাংশ বাড়িয়েছে (সরকার নির্ধারিতগুলো ছাড়া) হাসপাতালগুলো।
কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা ৪০ শতাংশও ছাড়িয়েছে। একই সময়ের মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ ফি ও ওষুধের ব্যয় বেড়েছে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ। কোনও কোনও ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতালে এ ব্যয় বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ শতাংশেরও বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, এ মুহূর্তে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বড় প্রভাবক হয়ে উঠেছে স্বাস্থ্য ব্যয়।
Concern among allies as BNP renews ties with Jamaat বা জামাতের সঙ্গে বিএনপি’র পুনঃরায় সুসম্পর্কের কারণে শরীকদের উদ্বেগ। এটি নিউএজ পত্রিকার প্রথম পাতার একটি শিরোনাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতারা ও অংশীজনরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছেন। কিন্তু বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মাঝে সাম্প্রতিককালে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঐ নেতাদের একটি অংশ এখন উদ্বিগ্ন।
দীর্ঘ বিরতির পর তাদের ঘনিষ্ঠতা পুনরায় স্থাপিত হয় যখন জামায়াত প্রধান শফিকুল ইসলাম সহ একদল নেতা গত সপ্তাহে বিএনপি আয়োজিত একটি ইফতার পার্টিতে যোগ দেন। এরপর একদল বিএনপি নেতাও বিনিময়ে জামায়াত আয়োজিত ইফতার পার্টিতে যোগ দেন।
জামায়াত আট বছর পর এমন ইফতারের আয়োজন করে। আর কয়েক বছর পর বিএনপি’র এই ইফতার পার্টিতে জামায়াত নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদের ইফতার পার্টিতে জামায়াতের আমির শফিকুল বলেন, বিএনপির সঙ্গে জোট না থাকলেও বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক দৃঢ়।