ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে চাইছে ইউরোপের দেশ স্পেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জানিয়েছেন, স্বীকৃতি মিলবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭২ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।
গতকাল বুধবার পেদ্রো জানান, ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক এই স্বীকৃতি আগামী জুলাই মাসের আগেই দেওয়া হবে। অন্য দেশগুলোকেও একই কাজ করতে রাজি করানোর চেষ্টা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ইউরোপ সফর শুরু করতে চলেছেন।
সানচেজ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি না দিলে তাকে (ফিলিস্তিনকে) সাহায্য করতে পারে না।’
আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সরকারের প্রস্তাব সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল সম্ভবত এই প্রস্তাবটিকে সমর্থন করবে না।
স্পেনের আগে সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেন, শান্তি ফেরানোর বিষয়ে দ্রুততা আনতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে। তবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে সরকার চালানোয় হামাসের যে কোনও ভূমিকা থাকতে পারবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী।