ফারাক গড়ে দিল এমএস ধোনির ৪ বলে ২০ রানের ইনিংসটাই। আর সেই ২০ রানেই হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে জয় পেল চেন্নাই সুপার কিংস। ধোনির ২০ রানের ইনিংসের কারণে কাজে এল না রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিও। তবে পারফেক্ট ডুয়েল দেখল ক্রিকেট প্রেমিরা। প্রথমে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও শিবম দুবের অনবদ্য ইনিংস। শেষে ৪ বলের ধোনি ধামাকা। পরে রোহিতের শতরান ও মাথিসা পাথিরানার দুরন্ত বোলিং। আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে সফলতম দুই দলের লড়াই এবারের মত শেষ হাসি হাসল সিএসকে।

ম্যাচে টস জিতে প্রথম বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শুরুটা ভাল হয়নি সিএসকের। রান পাননি অজিঙ্কে রাহানে। তারপর অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন রাচিন রবীন্দ্র ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। রাচিন রবীন্দ্র ফেরেন ২১ রান করে। এরপর দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও শিবম দুবে। দুজন মিলে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে শক্ত ভিত রচনা করে দেয় চেন্নাইয়ের।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুরন্ত করেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ঈশান কিশান। একের পর এক মারকাটারি শট খেলেন দুই তারকা। ঝড়ের গতিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করে রোহিত-ঈশান জুটি। ৭০ রানে পরপর জোড়া ঝটকা লাগে মুম্বইয়ের। ২৩ রান করে ঈশান কিশান ও খাতা না খুলেই আউট হন সূর্যকুমার যাদব। দুটি উইকেটই নেন মাথিসা পাথিরানা।

এরপর একদিক থেকে রোহিত শর্মা নিজের ইনিংস চালিয়ে যান। মাঝে তিলক বর্মা ৩১ রান করে রোহিতকে কিছুটা সঙ্গ দিলেও অন্যান্য ব্যাটাররা কেউ বড় স্কোর করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত রোহিত নিজের শতরানও পূরণ করেন। কিন্তু দলকে ম্যাচ জেতাতে না পারায় সেঞ্চুরি করেও সেলিব্রেট করেননি হিটম্যান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান করে মুম্বই। ১০৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রোহিত শর্মা। ২০ রানে ম্যাচ জেতে সিএসকে। ৪ উইকেট নেন চেন্নাইয়ের মাথিসা পাথিরানা।