সিলেটের কানাইঘাটে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। 

রবিবার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হয়। প্রায় ১০-১৫ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
 
বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে বিশেষ করে কানাইঘাট সদর এবং ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম ৮নং ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়ন ও ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে প্রচুর গাছপালা ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি শিলা বৃষ্টির কারণে ফসলের ও ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা উপচে পড়ার কারণে কানাইঘাট গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 
 
বৈরি আবহাওয়া কারণে রবিবার দুপুর থেকে কার্যত গোটা উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন অবস্থায় রয়েছে। রাস্তাঘাটে কালবৈশাখী ঝড়ে রাস্তার উপরে উপচে পড়া গাছপালা কানাইঘাট ফায়ার বির্গেড স্টেশনের সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন সরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক শিলা বৃষ্টির কারণে অনেকের টিনের বাড়ি-ঘরসহ মৌসুমি ফল ও বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি আশঙ্কা করেছেন এসব এলাকায় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। পল্লী বিদ্যুৎতের কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সারাদিন থেমে থেমে বজ্রপাত হওয়ার কারণে এবং গাছ-বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। 

কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। আমার ইউনিয়নের অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। শক্তিশালী ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে।