ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে। প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসি। ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। 

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (০৭ মে) দুর্গম এলাকার ৪২৪ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠিয়েছে ইসি। আজ ভোটের দিন সকালে বাকি কেন্দ্রে ব্যালট পৌঁছানো হয়। এ ধাপে ২১ উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। বাকি উপজেলায় ব্যালটে ভোটগ্রহণ করবে ইসি।  নির্বাচনি মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৫ সদস্য। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি (উপজেলায়) এলাকায় ভোটের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে কোনো ধরনের অনিয়ম যেন না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, স্থানীয় নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে যেমন উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে তেমন থাকে উত্তেজনা। সে কারণে কমিশনও সতর্ক রয়েছে।

ইসি জানছে, প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় তফসিল দেওয়া হলেও পাঁচ উপজেলায় তিন পদেই বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ভোট স্থগিত রয়েছে আট উপজেলায়। ফলে আজ ভোট গ্রহণ হচ্ছে ১৩৯ উপজেলায়। এসব উপজেলায় মোট প্রার্থী ১ হাজার ৬১৯ জন। চেয়ারম্যান ৫৬৫, ভাইস চেয়ারম্যান ৬১৯ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩৫ জন। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৮ জন। চেয়ারম্যান আট, ভাইস চেয়ারম্যান ১০ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান ১০ জন। বিনা ভোটে তিন পদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন হাতিয়া, মুন্সীগঞ্জ সদর, বাগেরহাট সদর, পরশুরাম ও শিবচর উপজেলায়। এ ছাড়া সর্বশেষ মামলার কারণে গতকাল ভোট স্থগিত হয়েছে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে। উচ্চ আদালতের আদেশ প্রতিপালনে সোমবার স্থগিত হয় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন। এর আগে মামলার কারণে নারায়ণগঞ্জ সদর, ধাপ পরিবর্তনের জন্য কুমারখালী, প্রশাসনিক কারণে থানচি ও রোয়াংছড়ি, মৃত্যুর কারণে গোপালপুর, মহাদেবপুরের নির্বাচন স্থগিত করা হয়।