দুই বছর পেরিয়ে গেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দীর্ঘ সময় ধরে চলা যুদ্ধে ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বদিকের অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে রাশিয়া। হামলা চালিয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহরগুলোতেও। দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করার পর এবার অস্ত্র ভাণ্ডারে টান পড়েছে ইউক্রেনের। ফলে ঠেকানো যাচ্ছে না পুতিন-বাহিনীর হামলা। এই পরিস্থিতিতে ফের ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য নতুন ৪০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এই প্যাকেজে অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, উচ্চ গতিশীল আর্টিলারি রকেট সিস্টেম, গোলাবারুদ সহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে। থাকছে প্রায় দেড় কোটি গোলাগুলিও। একই সঙ্গে সাঁজোয়া গাড়ি, শক্তিশালী জাভেলিন মিসাইল, বিপুল পরিমাণ গ্রেনেডও দিচ্ছে আমেরিকা। সেক্রেটারি অব স্টেট এন্টনি ব্লিনকেন এক বিবৃতিতে বলেছেন- ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেমন স্পষ্ট করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আমরা যে আন্তর্জাতিক জোট একত্রিত হয়েছি তারা ইউক্রেনের স্বাধীনতা রক্ষায় তার পাশে থাকবো’। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য ৬০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল সুরক্ষিত করার জন্য একটি জাতীয় সুরক্ষা সম্পূরক স্বাক্ষর করার পর থেকে এই ঘোষণাটি দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সিয়াল ড্রডাউন অথরিটি (পিডিএ) প্যাকেজকে চিহ্নিত করে। 

বাইডেন আইনে স্বাক্ষর করার কিছু মুহূর্ত পরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে ১ বিলিয়ন ডলারের পিডিএ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। বাইডেন সেই সময়ে বলেছিলেন যে ইউক্রেনে সরঞ্জামগুলোর চালান “আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে” শুরু হবে এবং মাত্র দুই দিন পরে, প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ইউক্রেনের জন্য নতুন সরঞ্জাম কেনার জন্য একটি ঐতিহাসিক ৬ বিলিয়নের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।

৬ বিলিয়ন প্যাকেজটি ছিল ইউক্রেন সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স ইনিশিয়েটিভ (ইউএসএআই) এর অধীনে।