বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে ১২টি জাতীয় নির্বাচন নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। যারা হেরে গেছে তারাই, নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যেমন: ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হয়েছে, তখন আওয়ামী লীগ বলেছেন- নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আবার ৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসছে, তখন বিএনপি বলেছে- নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। বর্তমান ব্যবস্থায় শতভাগ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। 

তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দেয়া ফর্মূলা অনুযায়ী আনুপাতিক হারে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব। ভোট হবে দলীয় প্রতীকে। যে দল যতভাগ ভোট পারে তারা শতকরা ততভাগ এমপি পাবে। বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় জালভোট দেয়া যায়, কারচুপি করা যায়। তাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আনুপাতিক হারে নির্বাচন চায় না।  আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনয়তনে এক যোগদান অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টিতে যোগদানকারী নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, নির্বাচন কমিশন দাবি করে তারা স্বাধীন। আসলে নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা নেই। আইনে লেখা আছে- নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলে নির্বাচন কমিশনের কথা মানতে বাধ্য। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কথা না শুনলে কি হবে তা লেখা নেই। তাই নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থা নিতে পারে না। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিতে হবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ক্ষমতায় এসে স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়, তাই তারা নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিতে চায় না। বিএনপি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। আর আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থার ফাঁক-ফোঁকর কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় থাকতেছে। নির্বাচন ফেয়ার করতে হলে নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। 

তিনি বলেন, দেশের হাজার কোটি টাকা পাচার করে সিঙ্গাপুর, কানাডা, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে সম্পদ করছে একটি গোষ্ঠী। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে না। লাইসেন্সবিহীন চালকরা ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালাচ্ছে তাই সড়কে দুর্ঘটনা কমছে না। 

বিভিন্ন পেশাজীবীর নেতৃবৃন্দ শেখ রুনার নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি’র হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টি যোগ দেন মো. রুহুল আমিন, মো. নজরুল ইসলাম, মো. ইয়াসির আরাফাত, মো. তামিম বীন সিদ্দিক, মো. অসিন, মো. মিজানুর রহমান। এসময় জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হুমায়ুন খান, সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য মুহিত হাওলাদার, মো. সামছুল হুদা, হুমায়ুন কবির শাওন, অ্যাড. আলতাফ হোসেন মন্ডল, সোহেল রহমান ও নাজমুল হাসান রেজা।