লর্কান টাকারের টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে শক্ত ভিত পেয়েও বড় পুঁজি গড়তে পারল না আয়ারল্যান্ড। চমৎকার বোলিংয়ে লক্ষ্যটা নাগালে রাখলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের ফিফটিতে আরেকটি অনায়াস জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল পাকিস্তান।

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের জয় ৬ উইকেটে। ডাবলিনে মঙ্গলবার (১৪ মে) ১৭৯ রানের লক্ষ্য ১৮ বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় তারা। হারে শুরুর পর টানা দুই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ পাকিস্তান জিতল ২-১ ব্যবধানে।শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের ইনিংসকে ভাগ করা যায় দুই ভাগে। প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান তুলে ফেলে তারা। শেষ ১০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে যোগ করতে পারে কেবল ৮৩ রান। ৪১ বলে ১৩ চার ও এক ছক্কায় ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন টাকার। বাঁহাতি পেসার আফ্রিদি ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই।

ব্যাট হাতে রিজওয়ান ৩৮ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় করেন ৫৬ রান। আগের ম্যাচে শূন্য রানে ফেরা অধিনায়ক বাবর এবার ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৪২ বলে খেলেন ৭৫ রানের ইনিংস। এতে ভারতের ভিরাট কোহলিকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসের রেকর্ড গড়লেন বাবর। কোহলির পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস ৩৮টি, পাকিস্তান অধিনায়কের হলো ৩৯টি।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারে রস অ্যাডায়ারকে হারায় আয়ারল্যান্ড। সিরিজে প্রথম খেলতে নামা এই ওপেনারকে দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন আফ্রিদি। শুরুর ধাক্কা সামলে রান বাড়ানোর কাজটা করেন অ্যান্ডি বালবার্নি ও টাকার। দুইজনের জুটি পঞ্চাশ স্পর্শ করে ২৭ বলে। টাকার ফিফটি তুলে নেন ২৯ বলে। দলের শতরান ছুঁয়ে ফেলে একাদশ ওভারে।

ওই ওভারেই বালবার্নিকে (২৬ বলে ৩৫) ফিরিয়ে ৪৯ বলে ৮৫ রানের জুটি ভাঙেন আব্বাস আফ্রিদি। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা টাকারকে থামান ইমাদ ওয়াসিম। এরপর নিয়মিত উইকেট হারায় আইরিশরা। তাদের সংগ্রহও তাই বড় হয়নি। শেষ ৭ ওভারে আসে মাত্র ৪৯ রান।

লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তানের শুরুটাও ভালো ছিল না। তৃতীয় ওভারে ১৪ রান করে ফেরেন সাইম আইয়ুব। তবে রিজওয়ান ও বাবরের ব্যাটে জয়ের পথে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। রিজওয়ান ফিফটি করেন ৩০ বলে, বাবরের লাগে ৩১ বল। দুইজনের কেউ কাজ শেষ করে আসতে পারেননি। রিজওয়ানের বিদায়ে ভাঙে ৭৪ বলে ১৩৯ রানের জুটি। পরের ওভারে ফেরেন বাবর।

ইফতিখার আহমেদের দ্রুত বিদায়ের পর বাকিটা সারেন আজম খান ও ইমাদ। টানা দুই ছক্কায় ম্যাচের ইতি টেনে ৬ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন আজম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আয়ারল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭৮/৭ (বালবার্নি ১৬, রস অ্যাডায়ার ৭, টাকার ৭৩, টেক্টর ৩০*, রক ৪, ডকরেল ৬, ক্যাম্পার ১, মার্ক অ্যাডায়ার ১, হিউম ১০*; আফ্রিদি ৪-০-১৪-৩, আমির ৪-০-৩২-১, হাসান ৪-৩-৪২-০, আব্বাস ৪-০-৪৩-২, সাইম ২-০-১৭-০, ইমাদ ৩-০-২৩-১)

পাকিস্তান: ১৭ ওভারে ১৮১/৪ (সাইম ১৪, রিজওয়ান ৫৬, বাবর ৭৫, আজম ১৮*, ইফতিখার ৫, ইমাদ ১*; মার্ক অ্যাডায়ার ৪-০-২৮-৩, হিউম ২-০-২৬-০, ইয়াং ৪-০-৪৯-১, ক্যাম্পার ৩-০-৩১-০, হোয়াইট ৩-০-৪২-০, ডকরেল ১-০-৫-০)

ফল: পাকিস্তান ৬ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়ী পাকিস্তান

ম্যান অব দা ম্যাচ: শাহিন শাহ আফ্রিদি