ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার উদ্ধারে আবারো আলোচনায় এলো তুরস্কের ড্রোন। বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানায়, কয়েক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দেশটির প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের সন্ধান পায় তুরস্ক থেকে পাঠানো ড্রোন। এই ড্রোনটির নাম বায়রাকতার আকিঞ্জি।

এর আগে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য আলোচনায় আসে এই সিরিজেরই আরেকটি মডেল বায়রাকতার টিবিটু। সোমবার ভোরে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার এলাকায় একটি ‘হিট সোর্স’ (উত্তপ্ত স্থান) শনাক্ত করে আকিঞ্জি। পরে সেখানেই ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়।বহু মানুষ ফ্লাইট রাডার অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ড্রোনটির গতিপথে চোখ রাখছিলো বলে জানায় আনাদোলু এজেন্সি। তারা একটি কৌতূহলোদ্দীপক দৃশ্য দেখে থাকবেন। ইরান থেকে তুরস্কের ঘাঁটিতে ফেরার পথে ফ্লাইট ম্যাপে নিজের গতিপথ ব্যবহার করে চাঁদ ও তারা আঁকে ওই বায়রাকতারটি। তুরস্কের জাতীয় পতাকায় চাঁদ-তারা প্রতীক রয়েছে। আনাদোলু ফ্লাইট ম্যাপের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, তুরস্কের বায়রাকতার কোম্পানির তৈরি সর্বশেষ প্রযুক্তির এই ড্রোনটি দেশটির সামরিক সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয় ২০২১ সালে। নতুন প্রযুক্তির এই ড্রোনের মাধ্যমে তুরস্ক ড্রোন প্রযুক্তিতে বিশ্বের প্রধান তিনটি দেশের মধ্যে নিজের স্থান করে নেয়।  

এর আগে, তুরস্কের অত্যাধুনিক ড্রোন বায়রাক্তার টিবি-২ এবং আনকা ড্রোন গেইম চেইঞ্জারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় সিরিয়া, লিবিয়া এবং নাগরনো-কারাবাখে। তখন একে অনেকেই ‘গেইম অব ড্রোন’ বলেও অভিহিত করে। বায়রাক্তার টিবি-২ প্রস্তুতকারক কোম্পানি বাইকার মাকিনাই তৈরি করে ড্রোন আকিঞ্চি।