ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু বলেছেন, বিএনপি যাতে জনগণের পক্ষে না দাঁড়াতে পারে, জনগণের কথা না বলতে পারে সেজন্য একের পর এক নেতাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। নিরস্ত্র নেতাদের উপর সশস্ত্র হামলা চালানো হচ্ছে। সরকারের পৈশাচিক হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সিনিয়র নেতারাও।
বুধবার (২২ মে) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর বিএনপির জোন -৩ এর সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, সরকার মানুষকে কথা বলতে দিবে না, ভিন্নমত পোষণ করতে দিবে না। এরা একদলীয় শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়।মজনু বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগকে ঐক্যবদ্ধ করে বিরোধীদলকে দমন-নিপীড়ন করেছে। সরকার জানে, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া হয় তাহলে এ দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করে রাজনীতির আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। এজন্য তারা বিরোধীদলগুলাকে কথা বলতে দিচ্ছে না। সুষ্ঠু নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে। কথা বলার অধিকার হরন করেছে।
এ সরকারের কোনো ভিত্তি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এ দেশের ৯৭ শতাংশ জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। এ জন্য সরকার শঙ্কিত ও ভীত। এ সরকার তাদের প্রভূ রাষ্ট্রের ওপর ভর করে টিকে আছে। কিন্তু দেশের জনগণের পাশাপাশি পৃথিবীর সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাছেও এ সরকার স্বৈরশাসক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। যা জাতি হিসেবে লজ্জাকর।
জোন-৩ এর সমন্বয়ক লিটন মাহমুদের সঞ্চলনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মোহন, আব্দুস সাত্তার, সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বে সাইদুর রহমান মিন্টু, এম এ হান্নান, ফরহাদ হোসেন, খালেদ সাইফুল্লাহ রাজনসহ শাহাবাগ থানা ও রমনা থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।