সিলেট মহানগরের বন্দরবাজারে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ও পথচারীদের হাতে নকল স্বর্ণ দিয়ে প্রতারণা চক্রের ৩ সদস্য আটক হয়েছে। এসময় এক প্রতারক দৌড়ে পালিয়ে যায়। আটক তিনজনের মধ্যে একজন অটোরিকাশাচালক। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় প্রতারকদের অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়

আটকরা হলেন-চাঁদপুর সদর মতলব উত্তর থানার নজরুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার লায়েক আহমদ ও সুনামগঞ্জের নুর হোসেন। আর পালিয়ে যাওয়া যুবকের নাম নবী নূর। তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় থাকেন বলে আটকরা জানিয়েছেন।জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মধুবন মার্কেটের সামনের স্ট্যান্ডে একটি অটোরিকশাচালক যাত্রী তোলার জন্য হাক-ডাক শুরু করেন। এসময় গাড়িতে ৩ জন যুবক বসা ছিলেন। কিন্তু গাড়িটি ওই স্ট্যান্ডের না হওয়ায় সেখানকার লাইনম্যান রুবেল আহমদ অটোরিকশাচালককে প্রশ্ন করলে এক যুবক দৌড়ে পালিয়ে যান। এসময় পথচারী ও সেখানে থাকা অন্য অটোচালকদের সহায়তায় বাকি তিনজনকে আটক করেন লাইনম্যান।

আটকের পর দুজন লায়েক আহমদ ও নুর হোসেন জানান, তারা স্বর্ণসদৃশ পিতলের টুকরো দিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ কাজে জড়িত। সহজ-সরল যাত্রীকে টার্গেট করেন তারা। গাড়িতে উঠলে তাদের একজন যাত্রীর কাছে স্বর্ণসদৃশ পিতলের টুকরোটি আসল স্বর্ণ বলে প্রলোভন দেখিয়ে যাত্রীর কাছে বিক্রি করেন। তাদের বেশি টার্গেট থাকে বৃদ্ধ অথবা নারী।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন সিপন বলেন, আটক তিনজনকে আমাদের কাছে সোপর্দ করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিলেট মহানগরে অটোরিকশাযোগে বেড়েছে অপরাধ। সাধারণ যাত্রীরা অটোরিকশায় উঠে ছিনতাই, প্রতারক ও মলম পার্টির কবলে পড়েন। সম্প্রতি এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন কিছু অটোরিকশাচালক। এ অবস্থায় অভিযুক্ত অটোরিকশাচালকদের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে অটোরিকশা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ নিয়েছেন উদ্যোগ।

জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমদ নির্দেশন দেন প্রত্যেকটি স্ট্যান্ডের ম্যানেজার ও সদস্য-চালকরা সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন এবং সন্দেহভাজন কোনো চালককে দেখলেই আটক করেন। এই নির্দেশের পর গত মঙ্গলবার মেজরটিলা থেকে এমন সন্দেহজনক দু’জনকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।