সিলেট নগরের পুরাতন ২৭টি ওয়ার্ডে নতুন নির্ধারিত ‘অতিরিক্ত হারের’ হোল্ডিং ট্যাক্স নগরবাসীর প্রতিবাদের মুখে বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। রি-অ্যাসেসমেন্ট করে পুনরায় সহনীয় পর্যায়ে ট্যাক্স নির্ধারণ করা হবে।
শুক্রবার রাতে সিলেট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।এর আগে, বিকাল ৬টায় সিসিক মেয়রের সভাপতিত্বে নগরভবনের সভাপক্ষে অনুষ্ঠিত পরিষদের সভায় সিটি কর্পোরেশনের সকল কাউন্সিলরের সম্মতিক্রমে ট্যাক্স বাতিল ও নতুন করে রি-অ্যাসেসমেন্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০১৮ সালে সিলেট নগরের ১-২৭টি ওয়ার্ডে অ্যাসেসমেন্ট শেষে নতুন হারে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করে সিসিকের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর পরিষদ। ট্যাক্স কার্যকরের সময় ছিল ২০২১-২২ অর্থবছর। কিন্তু মেয়র আরিফ সে সময় ট্যাক্স বাস্তবায়ন করেননি। নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের চার মাসের মাথায় সিটি কর্তৃপক্ষ গত মাসে নতুন ট্যাক্সের বিষয়টি প্রকাশ করে। নগরের পুরাতন ২৭ ওয়ার্ড-বাসিন্দাদের ট্যাক্সের বিষয়টি জানাতে ৩০ এপ্রিল থেকে নগরভবন প্রাঙ্গণে ক্যাম্প শুরু হয়। ক্যাম্পে পৃথক ২৭টি বুথ করে ওয়ার্ড-বাসিন্দাদের জানানো শুরু হয় নতুন ট্যাক্সের তথ্য।
কিন্তু নতুন ট্যাক্সে হার জানার পর থেকেই নগরজুড়ে শুরু হয় হইচই। সবার একটাই অভিযোগ ছিল-ট্যাক্স বেড়েছে কয়েকশ’ গুণ, যা পরিশোধ করা দুঃসাধ্য। এরপর থেকেই নতুন ট্যাক্স বাতিলের দাবিতে প্রতিদিনই কোনো না কোনো সংগঠন নগরে প্রতিবাদ সভা কিংবা মানববন্ধন করেছে। রি-অ্যাসেসমেন্টের (পুনর্মূল্যায়ন) মাধ্যমে সহনীয় হারে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণের দাবিতে সিসিক কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয় একের পর এক স্মারকলিপি। নগরবাসীর ক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে অবশেষে সিসিক কর্তৃপক্ষ এ ট্যাক্সের হার বাতিলের ঘোষণা দেয় শুক্রবার রাতে।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বর্ধিত ট্যাক্স বাতিলের পাশাপাশি সিসিকে নতুন অন্তর্ভুক্ত ১৫টি ওয়ার্ডে অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৩১ মে’র মধ্যে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় অব্যাহত থাকবে।
মেয়র আরও বলেন, ‘নগরবাসীকে সাথে নিয়ে নগরের কল্যাণে যেকোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। জনগণের প্রতিষ্ঠানে জনমত প্রাধান্য পাবে’।