বরিশাল বিভাগের সবগুলো জেলাতেই কম বেশি তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। অতি প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টির কারণে বিভাগটির বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়াসহ নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি দেখা দেয়।

রেমালের প্রভাবে বরিশাল নগরের নিম্নাঞ্চলসহ প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন অনেক মানুষ। রবিবার দিবাগত রাত চারটার দিকেও বরিশাল নগরে প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে।বিভাগটির হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়। রবিবার বিকেল পর্যন্ত ভোলায় ২৩ হাজার ২৬২ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া সম্ভব হয়েছিল। বরগুনায়ও ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়।

কলাপাড়া, খেপুপাড়া, রাঙ্গাবালি, বরগুনা, পাথরঘাটা, মনপুরা, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখানসহ বরিশালের বিভিন্ন জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলা বেশি ক্ষতিহগ্রস্ত হয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট কোথাও কোথাও ৬ থেকে ৭ ফুট ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, বিভাগের ছয় জেলায় তিন লাখের মতো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১১টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানান, বরিশালের বুড়িশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ঝালকাঠির বিশখালী ২৬ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার সুরা-মেঘনা নদীর পচনি ৬৪ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের মেঘনা ১ মিটার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ভোলার তেঁতুলিয়া ১৪ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বুড়িশ্বর ৩৫ সেন্টিমিটার, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার বুড়িশ্বর নদীর পানি ৩৩ সেন্টিমিটার, বরগুনা সদরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বিশখালী ৬৭ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত বিশখালী ৭২ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদী ৩৩ সেন্টিমিটার ও পিরোজপুরের কঁচা নদীর পানি ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।