বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সোমবার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে ডিপজলের করা আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার জজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের আদালত এ আদেশ দেন।আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
গত ২০ মে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক ও পলাশ চন্দ্র রায়।
পরে শাহ মনজুরুল হক বলেন, নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তাকে দায়িত্ব পালনে বিরত রাখতে বলেছেন।
এর আগে ১৪ মে ফলাফল বাতিল চেয়ে ও নতুন নির্বাচনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নাসরিন আক্তার ওরফে নিপুণ আক্তার।
গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ এপ্রিল ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর (২৬৫ ভোট)। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫ ভোট)। ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার (২০৯ ভোট)। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।
আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে, সমাজ কল্যাণ সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, সংস্কৃতি সচিব, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভলান্টারি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এজেন্সি, ঢাকার কর্তৃপক্ষ, শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ড, শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশন, মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে।