অবশেষে মধুর সমাপ্তিই হলো বলা যায়। যে তর্জনগর্জনে শুরু হয়েছিল অভিনেত্রী তমা মির্জা ও মিষ্টি জান্নাতের দ্বন্দ্ব, তার চেয়ে সহজেই যেনো হলো সমাধান। পাল্টাপাল্টি আইনি নোটিস চালাচালির পর তমা ও মিষ্টি ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং শিল্পী সমিতির মধ্যস্থতায় মিলেও গেছেন।
মিষ্টি জান্নাতের একটি সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে ঘটনার শুরু। গত কয়েকদিন ধরেই নানারকম এলোমেলো মন্তব্যের কারণে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন মিষ্টি। শাকিব খানকে বিয়ের গুঞ্জনে দিয়ে শুরু, অভিনেতা জয় চৌধুরীকে নিয়েও বিস্ফোরক বক্তব্য। যার রেশ ধরে পরোক্ষভাবেই তমা মির্জাকে খোঁচা দেন মিষ্টি জান্নাত। ঘটনা পরিক্রমায় মিষ্টির কাছে দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিস দেন তমা মির্জা।
যে নোটিসে সামাজিক মাধ্যমে থাকা দুটি ভিডিও বক্তব্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ‘আপনার বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করবো না, তমা মির্জাকে খোঁচা দিয়ে মিষ্টি জান্নাত’ এবং ‘…..নায়িকা হয়েছে তমা মীর্জা : জান্নাত’ শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মানহানিকর বক্তব্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনজীবী।
নোটিসে বলা হয়, এ সব বক্তব্যে সাংবাদিক ও দেশের জনগণের কাছে তার (তমা মির্জার) সুনাম নষ্ট হয়েছে। এ ধরণের বক্তব্য তমার চরিত্র ও ব্যক্তিত্বে আঘাত হেনেছে। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে ডিজিটাল মিডিয়ায় এসব মানহানিকর বক্তব্য হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এতে ১০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে।
এরই জবাবে তমার দেওয়া নোটিসকে অসত্য উল্লেখ করে তা প্রত্যাহার এবং তিন দিনের মধ্যে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে পাল্টা নোটিস পাঠান মিষ্টি জান্নাত। অন্যথায় দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দেন তিনি।
দুই নায়িকার এই কোন্দল সমাধান করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। আজ মঙ্গলবার বিকেলে শিল্পী সমিতির উদ্যোগে তমা-মিষ্টির বিবাদ সমঝোতা করা হয়েছে। এসময় তমা মির্জা ও মিষ্টি জান্নাত দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। তাদের পাশে ছিলেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।
তমা বলেন, ‘মিষ্টি আমার ছোট বোন, তার ভুল আমি ক্ষমা করেছি। আমরা একে অপরের উপর নির্ভরশীল তাই আমরা আমাদের সংগঠন শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে বসে আমাদের দুইজনের সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান করেছি।’
তমার সঙ্গে সুর মিলিয়ে মিষ্টি জান্নাত বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কিছুটা ভুল ভ্রান্তি হয়েছিল। সেই বিষয়ে আমিও ক্ষমাপ্রার্থী। আমাদের অভিভাবকদের সাথে নিয়ে সমঝোতা করলাম।’
অভিনেতা মিশা সওদাগর বলেন, ‘তমা মির্জা ও মিষ্টি জান্নাত দুজনেই বুঝতে পেরেছে বিষয়টি করা উচিৎ হয়নি। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আজ শিল্পী সমিতি তাদের বিষয়টি সমাধান করেছে। দিন শেষে আমরা সবাই শিল্পী। আমরা এক পরিবারের সদস্য। সবাই আনন্দ নিয়ে ঘরে ফিরতে পারাটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।’