গাজার রাফায় প্রাণঘাতী হামলার পরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েল নীতি পরিবর্তনের কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের দুর্দশার প্রতি ‘অন্ধ’ হয়ে থাকবে না যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস এই তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলের রবিবারের হামলায় বাস্তুচ্যুতদের জন্য নির্মিত একটি শিবিরে আগুন লেগে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, রাফায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড বাইডেনের ‘রেড লাইন’ লঙ্ঘন করবে বলে ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে না।

হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে কিরবি বলেন, রবিবারের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র  নীতি পরিবর্তন করবে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। ইসরায়েলিরা এর তদন্ত করতে যাচ্ছে।

ফিলিস্তিনের গাজার রাফা এলাকায় একটি আশ্রয়শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলাকে ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, গাজায় অভিযান বন্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই তার। 

রাফায় ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত তাল আস-সুলতান এলাকার একটি আশ্রয়শিবিরে রোববার হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া আহত হয়েছে শতাধিক। ওই হামলার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দার ঝড় উঠেছে।