বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ও উজানের ঢল নামা বন্ধ হওয়ায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে সিলেট মহানগরের কিছু এলাকায় এখনো জলাবদ্ধতা রয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর তিনটি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানইঘাট পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ৬৯ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।জানা গেছে, জেলার বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাই নেওয়া মানুষ নিজি নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।
এদিকে, বন্যার পানি নামার সাথে সাথে ভেসে উঠছে ক্ষয়-ক্ষতির চিত্র। বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর প্রধান প্রধান সড়ক ভেঙে গেছে।
উপজেলাগুলোর পাকা ও আধাপাকা সড়কের ব্যপার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। পানির স্রোতে উঠে গেছে সড়কের কার্পেট। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব বিভিন্ন উপজেলার লাখো মানুষ।
এদিকে, বন্যার ঝুঁকিতে আছে এমন মহানগরের সকল ওয়ার্ডে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পানি বাড়লে তাদের ওই আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হবে। সুরমা তীরবর্তী বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনগুলো রক্ষার জন্য বালির বস্তা দিয়ে বাধ নির্মাণ করা হয়ছে।