আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সবসময়ই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের চিন্তা করেন। আজকে বাংলাদেশে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দুস্থদের ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা এরকম ৪৪ রকমের সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়েছে এবং সেসব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতেই। এই যে এখন বৈশ্বিক মন্দা চলছে তিনি এর মধ্যেই চেষ্টা করেছেন দ্রব্যমূল্য যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, চেষ্টা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।
সোমবার (৩ জুন) কুষ্টিয়া উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে সেলাই মেশিন, ক্রীড়াসামগ্রী, কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের চেক বিতরণ এবং অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের আর্থিক প্রণোদনা ও গ্রীষ্মকালীন পিয়াজ চাষীদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি এসব বলেন।
হানিফ বলেন, এদেশে অনেকেই সরকারপ্রধান ছিলেন, অনেকেই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, প্রেসিডেন্ট ছিলেন, কিন্তু জনগণের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করবেন, সেটা সেভাবে কেউ পারে নাই। সমালোচনা অনেকেই করেন, সত্য অসত্য কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু ক্ষমতায় যখন ছিলেন তারা তখন মানুষের জন্য কিছু করেন নাই। আজকে যা কিছু দেশের সাধারণ মানুষের জন্য- সেই কাজ করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি না হলে এই যে সাহায্য সহযোগিতা এসব আসত না।
তিনি বলেন, আমি কিছুদিন আগেই ভেড়ামারায় পানের বরজে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বিতরণ করেছি। এরকম আগে কখনো দেখা যায়নি যে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে এত অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে মানুষের পাশা দাঁড়াতে হয়।
তিনি আরো বলেন, আমরা সবসময়ই বলি, স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। এই স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে খেলাধূলার কোনো বিকল্প নেই। একইসাথে নিরাপদ খাদ্য কোনো বিকল্প নেই। আমরা আজকে ছাত্রের মাঝে খেলাধুলার উপকরণ দিয়েছি, যুবসমাজ ছাত্রসমাজ যাতে তাদের অবসর সময়ে খেলা করতে পারে।
তিনি বলেন, খাদ্যে এখন নানাভাবে ভেজাল দেওয়া হচ্ছে, মরিচের গুঁড়ার মধ্যে ইটের গুড়া, হলুদের গুঁড়ার মধ্যে ইটের গুড়া থেকে শুরু করে নানাভাবে সবকিছুতেই ভেজাল দেওয়া হচ্ছে ফলে আমরা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি। কিন্তু এসব যাতে না হয় সেজন্যই আজকে আমাদের এই সেমিনার। কীভাবে খাদ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়, কীভাবে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে সেটার একটা ইন্সট্রাকশন আছে, সেটা আমি আপনাদের কাছে পাঠাবো। নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ কীভাবে গ্রহণ করতে হবে সেই বিষয়ে সবার মধ্যে গ্রামে মানুষের মধ্যে, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম আখতারুজ্জামান মাসুম, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ।
সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল।