উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার রাজধানীর বনানী এলাকায় পথচারী, যানবাহন চালক ও যাত্রীদের হাতে উপজেলা নির্বাচনের ভোট বর্জন সম্বলিত লিফলেট বিতরণকালে এ আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে উপজেলা নির্বাচনে ভোট, চার দফায় হবে। এই ভোট হচ্ছে ডামি ভোট, এই ভোট হচ্ছে প্রহসনের ভোট, এই ভোট হচ্ছে জালিয়াতির ভোট। এই ভোটে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না। আমরা সকলের প্রতি আহ্বান জানাই, সারাদেশে আপনাদের যারা আত্মীয়-স্বজন-ভাই-বোন আছেন সবাইকে বলবেন, কেউ যেন ভোট কেন্দ্রে না যায়। এই ডামি সরকারকে যেন কেউ সমর্থন না করে।

তিনি বলেন, আগামীকাল ১৫০টি উপজেলায় আবারও প্রহসনের, জালিয়াতির ডামি নির্বাচন করছে সরকার। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায় না, যে নির্বাচনে ভোটারদের কোনো অধিকার নেই যেটি আবারো করতে যাচ্ছে ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর কারণ কি? কারণ একটাই। উপজেলা নির্বাচনে, সংসদ নির্বাচনে তাদের দলের লোকেরা কোটি কোটি টাকা লুটপাট করতে পারে। একেকজন উপজেলা চেয়ারম্যান একশ বিঘার জমিজমা করেছেন খবরে কাগজে এসেছে, আবার অনেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা সম্পত্তি করেছেন। এই কারণে জনগণকে বাদ দিয়ে, বিরোধী দলের অংশগ্রহণকে বাদ দিয়ে আবারও ডামি নির্বাচন তারা করতে যাচ্ছে।

রিজভী বলেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, জনগণ এই ডামি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।

গণতন্ত্রকামী কোনো রাজনৈতিক এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। আমরা বিশ্বাস করি, আগামীকালসহ চার দফায় যে উপজেলা নির্বাচন হবে সেই নির্বাচন জনগণ বর্জন করবে।

তিনি আরও বলেন, ৭ই জানুয়ারির ডামি নির্বাচন তারা (জনগণ) বর্জন করেছে। ঠিক একইভাবে এই উপজেলা নির্বাচনও বাংলাদেশের মানুষ বর্জন করবে। কারণ জনগণের ভোটের অধিকার যারা কেড়ে নিয়েছে তাদের কোনো ভোট ভোট নয়, এটি ডামি ভোট, প্রহসনের ভোট। এই ভোটে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না, আপনারাও কেউ অংশ নেবেন না। উপজেলা নির্বাচনকে না বলুন, উপজেলা নির্বাচন বর্জন করুন।

এসময়ে বিএনপি’র সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের সাবেক নেতা তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মহিলা দলের রেহানা সুলতানা আরজু, পান্না ইয়াসমীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।