পিরোজপুরে আসামি বহনকারী প্রিজনভ্যান আটকে চালককে মারধরের ঘটনায় জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম সুমনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ছয় জনসহ নামীয় আটজন এবং অজ্ঞাতনামা আরও সাত থেকে আট জনকে আসামি করে পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম সুমন (৩৮), নয়ন শেখ (২৬), আলী হাসান লিয়ন (৩২), সাদ্দাম শেখ (৩২), আলী ইমাম অনি (২৮) এবং জাকারিয়া আল জাওয়াব (২৫)। তাদের সবার বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার ভাইজোড়া এলাকায়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেলে জেলার মঠবাড়িয়া আদালত থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ বিভিন্ন মামলার ১০ জন আসামি নিয়ে পুলিশের একটি প্রিজনভ্যান পিরোজপুর জেলা কারাগারে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার ভাইজোড়া ডাক্তারবাড়ি এলাকায় পিরোজপুর-পাড়েরহাট সড়কে মোটরসাইকেল সাইড দেওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রিজনভ্যানের গতিরোধ করে গাড়ির চালক পুলিশ কনস্টেবল সাজেদুল করিমের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে মোটরসাইকেলের আরোহী জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন খান।
এ সময় জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম সুমন ও তার সঙ্গে সাত থেকে আটজন যুবক মোটরসাইকেল আরোহীর পক্ষ নিয়ে প্রিজনভ্যানের চালক পুলিশ কনস্টেবল সাজেদুল করিমকে বেধরক মারধর করেন।
ঘটনার পর পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে ভাইজোড়া ডাক্তারবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন খান পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় এসআই কামরুল হাসান বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান জানান, পুলিশের প্রিজনভ্যানের গতিরোধ করে গাড়ির চালককে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।