স্বাধীনতাবিরোধীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
সরকারবিরোধী দলগুলোর দিকে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ওরা আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরা আবারও স্বাধীনতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের মোকাবিলা করতে হবে।বুধবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের হায়দ্রাবাদ গ্রামে শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের ২০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, সেই হত্যাকারীরা এখন গণতন্ত্র-মানবাধিকারের কথা বলে। সরকারের সমালোচনা করে।
বিএনপি নেতা মঈন খানের উদ্দেশ্যে নানক বলেন, এই দেশে হত্যা-ক্যুর রাজনীতি শুরু করেছে আপনাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান। সেই ধারা আপনারা বজায় রেখে চলেছেন। তাই এ দেশের জনগণ আপনাদের লাল কার্ড দেখিয়েছে। আপনারা অপরাজনীতির ভিতর থেকে বের হয়ে আসেন, না হলে আপনারা বিলীন হয়ে যাবেন।
আহসানউল্লাহ মাস্টারের স্মৃতিচারণ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সেদিন নির্মমভাবে আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হলো। তখন হত্যাকারীদের বিচার হলো না! কী কারণে বিচার হলো না? হত্যাকারীদের রায় কেন হচ্ছে না? আমার বোধগম্য নয়। তবে আমাদের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এই হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। আল্লাহর রহমতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে যায়। সেদিন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মানব দেওয়াল তৈরি করে নেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়েছিল। সেই হামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ২৪টি তাজা প্রাণ চলে যায়। এই তো ছিল বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি।
শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের ছেলে এবং গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, টঙ্গী পৌরসভার সাবেক মেয়র আজমতউল্লাহ খান প্রমুখ। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।