ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, গণতন্ত্রের কথা বললে, দেশের মানুষের কথা বললে, ভোটের অধিকারের জন্য আন্দোলন করলে জেল-জুলুমের ভয় সামনে আসে। এখন তো এক মামলায় ধরে আরেক মামলায় জড়ানো হয়। ধরার সময় মামলা না থাকলে বলা হয় অপেক্ষা করুন জানতে পারবেন। এ ধরনের নাটক যারা করছে, তারও একটা শেষ আছে। ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত জুলুম-নির্যাতনের জন্য ক্ষমতাসীনদের এক সময় আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কোর্ট স্ট্রিট রোডে কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কারাবন্দী মোস্তাক আহমেদের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জেল জুলুমের ভয় দেখিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমান যাবে না। ধমক দিয়ে আন্দোলন ঠেকান যায় না। কারাগারে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের মুক্ত করে আনতে হবে।
সরকারের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি আজ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের মাধ্যমেই ফ্যাসিস্ট বিনা ভোটের এ সরকারের সকল ষড়যন্ত্র ও জুলুমকে রুখে দিতে হবে।
মোস্তাক আহমেদের বাসায় সালামের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার, রমনা থানা বিএনপি নেতা সাইফুল বিশ্বাস, চকবাজার থানা বিএনপি নেতা আনোয়ারুল হক রনি, মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক মুন্না, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি রোলেক্স পারভেজ হ্যাপি, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন বাপ্পী, ৩২ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হাজী জাহিদ হাসান, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক ডালিম হোসেনসহ কোতোয়ালি থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।