ঘূর্ণিঝড় রেমালকে কেন্দ্র দেশের পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু ভিন্ন অবস্থা দেখা গেছে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকায়। সকাল থেকে রোদ আর ভ্যাপসা গরমে এখনও অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে রয়েছেন মানুষজন।

সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব সিলেটে তেমন একটি না ও পড়তে পারে। তবে আজ রাত থেকে সিলেটে বাতাস ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।রবিবার সিলেটে বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশ বিরাজ করছে। একইসঙ্গে ভ্যাপসা গরমও অনুভব করা গেছে। গতকাল রাতে বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রায় এর কোন পড়ছে না।

সাধারণ মানুষ বলছেন, অন্যান্য সময় নিম্নচাপ কিংবা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায়  সিলেটের আবহাওয়া পরিবর্তন হলেও এখনও তেমন কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য যাচ্ছে না। টানা তাপপ্রবাহ এবং ভ্যাপসা গরম কমবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছিলাম। কিন্তু মহাবিপদ সংকেতের পরও এখন পর্যন্ত আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়নি। এখনও রোদ-গরমে মানুষজনকে নাকাল হতে হচ্ছে।

অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের ৮ বিভাগে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-৯ এর মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসেন জানান, সিলেটের তাপমাত্রা গত কয়েকদিনের তুলনায় রবিবার কিছুটা কম। ঘূর্ণিঝড় রেমালকে কেন্দ্র দেশের পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে আজ রাত থেকে সিলেট বিভাগে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারি বর্ষণ হতে পারে।