নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেন, দেশে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের স্বাধীনতা আছে নির্বাচনে অংশ নেওয়া, না নেওয়া। এটা তাদের দলীয় স্বাধীনতা। সেখানে কারও হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা নেই। তবে ইসি সব সময় চায় নির্বাচনে সব দল আসুক। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে, তা দূর করার ক্ষমতা বা এখতিয়ার কমিশনের হাতে নেই। এটা রাজনৈতিকভাবে উদ্ভূত এবং রাজনৈতিকভাবেই শেষ করতে হবে। আমাদের শেষ করে দেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। আমরা সব সময় বিভিন্ন আহ্বান জানিয়েছি, যাতে নির্বাচনে অংশ নেয়।

রবিবার দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকছি। কিন্তু তারা আসছে না। তাদের জোর করে এনে বসানো এটার কোনো সুযোগ বা ক্ষমতা কমিশনের নেই। তবে কেউ যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চায়, তাহলে তাদের আমরা স্বাগতম জানাব।

তিনি বলেন, নির্বাচনি পরিবেশ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা কাউকে ছাড় দেব না। সকলের সহযোগিতা নিয়ে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করছি। কেউ যদি সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যতিক্রম ঘটাতে চায়, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

নির্বাচন কমিশনার প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এর ব্যত্যয় ঘটলে আপনারা কে, কোথায় ছিটকে পড়বেন, আমাদের মাথায় সেটা নাই। আমরা চাই না নির্বাচনের আগের দিন আপনাদের প্রার্থিতা বাতিল হোক।

তিনি আরও বলেন, প্রিজাইডিং অফিসাররা কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার পর তা পরিবর্তনের আর কোনো সুযোগ তাদের হাতে থাকে না। কাজেই যারা ফলাফল ঘোষণার পর গন্ডগোল করেন, তা অনর্থক। তার চেয়ে বরং আইনের আশ্রয় নেবেন, নির্বাচনি ট্রাইব্যুানালে অভিযোগ করবেন।

মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আবু জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ। এসময় জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল ইসলামসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।