তিনি বলেছেন, ‘এটি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ইসরায়েল ইরানের সাথে জুয়া খেলা চালিয়ে যেতে চায়।’ফ্লেচার আরও বলেছেন, ওই অঞ্চলের কূটনীতিকরা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য, ‘সবাই এখন এই বিষয়টির তীব্রতা বা উত্তেজনা কমানোর উপায় খুঁজছেন।’
তিনি বলেন,‘আমরা জানি না, এখন উত্তেজনা কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ইরান স্পষ্টতই ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছে যে এটি খুব বড় কোনো বিষয় নয়। তারা এটিকে খাটো করে দেখছে। এবং ইসরায়েল অবশ্য আরও নাটকীয় কোনো কর্মকাণ্ডকে বেছে নিতে পারত।’
ফ্লেচার আরও বলেছেন, ইসরায়েল ইরানকে ‘স্পষ্টভাবে বার্তা দিয়েছে’ যে তারা চাইলে যেকোনো জায়গায় হামলা করতে পারে এবং সেক্ষেত্রে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোও এর বাইরে নয়। যদিও ইরান গত কয়েকদিন ধরে ‘পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ধারেকাছে না যাওয়ার’ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘এই সমস্ত কিছু মূল বিপদ হল, এখানে হিসেবের গড়মিল হলে অবশ্যই ঝুঁকি আছে।’ তিনি বলেন।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহান্তে আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে ইরানের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার ভোরে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় ইস্পাহান প্রদেশ একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে।
মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এবিসি, সিবিএস এবং সিএনএন, অন্যান্য মিডিয়া মধ্যপ্রাচ্যের সময় শুক্রবার ভোরে ইরানে ইসরায়েলের হামলার কথা জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোকে বলেছেন, ইসরায়েল ইরানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে। তবে বিদেশ থেকে ইরানে কোনো ‘হামলা’ হয়নি বলে খবর দিয়েছে ইরানি গণমাধ্যম।
এর আগে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। এই হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে।
এ ঘটনার পর ইরান এক সপ্তাহের কম সময় শনিবার রাতে ইসরায়েলে প্রথমবারের মতো সরাসরি হামলা চালায়। তারা ৩০০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল।