ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ বা সিএএ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের বিবৃতির কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।

শুক্রবার ভারত এ প্রতিক্রিয়া জানায়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে আইনটি বাস্তবায়নের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন এবং মার্কিন প্রশাসন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, মার্কিন বিবৃতি ভুল, এমন ভুল তথ্য দেওয়া অযৌক্তিক।

জয়সওয়াল বলেছেন, সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে নয়। এটি রাষ্ট্রহীনতার সমস্যাকে মোকাবিলা করে। এছাড়া এটি মানবিক মর্যাদা প্রদান করে এবং মানবাধিকারকে সমর্থন করে।


ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএএ) ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ভারতের সংসদে পাস হওয়া একটি আইন। এটি ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের মাধ্যমে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত নিপীড়িত সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরকিত্ব পাওয়ার সুযোগ প্রদান করে।  

ভারত সরকার গত সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় ঘোষণা করেছে যে এদিন থেকেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু হতে চলেছে। ২০১৯ সালে এটি পাস করা হলেও এতদিন আইনটির ধারা বা রুল তৈরি হয়নি। এখন সে কাজ সম্পন্ন করে আইনটি বলবৎ করছে সরকার।

এ প্রথমবার ভারতের নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর ধর্মীয় পরিচয় দিতে হবে।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, পার্শি, শিখ, জৈন ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যদি ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে চলে এসে থাকেন তাহলে তারা ভারতে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।