নিজের মেয়েকেই খুন করলেন মা। এমনই ঘটনা ঘটে হায়দরাবাদ। পুলিস জানিয়েছে, বুধবার ১৯ বছর বয়সী তরুণী বাড়িতে তাঁর প্রেমিক ডাকে। তাঁদেরকে একসঙ্গে দেখে ওই তরুণীর মা তাঁকে খুন করেন।

অভিযুক্ত মায়ের নাম জঙ্গমা। তাঁর মেয়ের নাম ভার্গবী। হায়দরাবাদে ইব্রাহিমপত্তনমে বাসিন্দা। পুলিস জানিয়েছে যে, ভার্গবী তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বাড়িতে একা ছিলেন। সেই দেখে জঙ্গমা তাঁর মেয়ে ভার্গবীকে তাঁদের বাড়িতে শ্বাসরোধ করে খুন করে।

জানা গিয়েছে, বুধবার জঙ্গমা দুপুরের খাবার খেতে কাজ থেকে বাড়ি আসেন। বাড়ি এসে সে তাঁর মেয়ে ভার্গবীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখতে পান। এটি দেখে, তিনি সেই প্রেমিককে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর তাঁর মেয়ে মারধর করা শুরু করে। তারপর তাঁকে শাড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। 

ইব্রাহিমপত্তনম পুলিস অফিসার সত্যনারায়ণ বলেছেন যে, নিহতের নাবালক ভাই দাবি করেছেন যে তিনি হত্যাকাণ্ডটি প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিস বলেছে, জানলা দিয়ে সে তাঁর মাকে দেখে দিদিকে মারধর করতে। 

পুলিস এ-ও জানিয়েছেন যে, জঙ্গমা তাঁর মেয়ে ভার্গবীর বিয়ে দিয়ে দিতে চেয়েছিল। তার জন্যই পাত্র খোঁজাও চলছিল।

প্রসঙ্গত, হায়দরাবাদ থেকে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে। তেলঙ্গনার ওয়ারঙ্গল জেলায় রাস্তার ধারের আইসক্রিম বিক্রেতার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। ফলে তাঁর কীর্তি দেখে সবাই হকচকিয়ে ওঠে। ইতোমধ্যেই সেই আইসক্রিম বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়। 

ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে যে ওই আইসক্রিম বিক্রেতা জের আইসক্রিমে ‘হস্তমৈথুন’ করছেন। এই অভিযোগের কথা পুলিস জানিয়ছে। ভিডিয়োটির তদন্তের পর কুরবিয়াকে পুলিস হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে যে আম্বেদকর সেন্টারে এই ভিডিয়োটি কর হয়েছিল।

ভিডিয়োটি ক্ষোভের জন্ম দেওয়ার পরে একজন খাদ্য পরিদর্শক নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ২৯৪ ধারার অধীনে একটি সার্বজনীন জায়গায় অশ্লীল কাজের জন্য কুরবিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।