এবার জিতলে সাংসদ হিসেবে জয়ের হ্যাটট্রিক হবে তাঁর৷ জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও দলের ভিতরের অন্তর্দ্বন্দ্বই যে তাঁর বড় চিন্তার কারণ, তা স্পষ্ট করে দিলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব৷ গতকাল ডেবরার একটি কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের তারকা প্রার্থীর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, অন্য কোনও দল নয়, তৃণমূলকে হারাতে পারে একমাত্র তৃণমূলই৷

ডেবরার ওই কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেব দাবি করেন, বাংলায় তৃণমূলকে হারানোর মতো সংগঠন অন্য কোনও দলেরই নেই৷ দেব বলেন, বাংলায় তৃণমূলের সংগঠন সবথেকে শক্তিশালী৷ ধারেকাছে অন্য কোনও দল নেই৷ তৃণমূলকে অন্য কোনও দল হারাতে পারবে না, তৃণমূলকে হারাতে পারে একমাত্র তৃণমূলই৷ এটা ২০১৯-এই আমি বুঝেছিলাম৷ সবাই পদ চায়, নেতা হতে চায়৷ কিন্তু আসলে আপনারা দলের থেকে সম্মানটুকু চান৷ আপনারা দলের জন্য আপনারা জীবন দিয়ে দিতে পারেন, এটা নিয়ে আমার কোনও প্রশ্ন নেই৷ মনে রাখবেন, দল থাকলে আমরা সবাই থাকব৷ দল জিতলে সবাই জিতব, দলের সম্মান আমাদের সম্মান৷ ২২০১৯-এ কী হয়েছে ভুলে যান৷ যদি আমরা রাগ, অভিমান সব ভুলে গিয়ে লড়তে পারি তাহলে মনে হয় ডেবরা থেকে আমরা যা লিড পাব তা নিয়ে ভাবতে হবে না৷

দেবের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে অবশ্য তৃণমূল প্রার্থীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাঝ্যায়৷ তাঁর অভিযোগ, এই মন্তব্য করে আসলে নিজের দলের নিচুতলার কর্মীদেরই অপমান করেছেন দেব৷ দেবকে সারা বছর এলাকায় দেখা যায় না বলে দাবি করে হিরণ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক নয়৷ তবে একটা কথা বলব, এর থেকে পরিষ্কার নিজের দলের নিচুতলার কর্মীদের উনি বিশ্বাস করেন না, সন্দেহ করেন৷ না হলের নিজের দলের সম্পর্কে কেউ এরকম বলতে পারে? এই কর্মীরা রোদে পুড়ে, জলে ভিজে প্রার্থীকে জিতিয়ে দিল্লিতে পাঠান৷ উনি তো ভোটের সময় একবার আসেন, তার পর পাঁচ বছরে আর দেখা যায় না৷ দশ বছর ধরে তো কর্মীরাই জমিটা তৈরি করেছেন৷ ওনার হয়ে ওনার দলের কর্মীদের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি৷’

এ বারের নির্বাচনে প্রথমে ভোটে দাঁড়াতে রাজি হননি দেব৷ তার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল ঘাটালে দলের একাংশের নেতাদের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ৷ দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব বন্ধ করা নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে আশ্বাস পাওয়ার পরই ভোটে দাঁড়াতে রাজি হন দেব৷ তবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর অবশ্য পুরোদমে নির্বাচনের প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন দেব৷