বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত সংস্কারের লক্ষ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সাথে একীভূত করার প্রক্রিয়া চলছে। এক্সিম ও পদ্মা’র পর এবার সেই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভূক্ত হতে যাচ্ছে আরও ছয়টি ব্যাংক।

সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সোনালী ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে একীভূত করার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের খবর এসেছে স্থানীয় গণমাধ্যমে। বেসরকারি দ্য সিটি ব্যাংকের সাথে একীভূত হওয়ার আলোচনায় আছে সরকারি বেসিক ব্যাংকও।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা আশা করছেন,এর মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংকগুলোর ভঙ্গুর অবস্থা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

কিন্তু যেসব ভালো ব্যাংকের সাথে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করা হচ্ছে, তা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন একজন অর্থনীতিবিদ। যদিও ব্যাংকাররা তা অস্বীকার করেছেন।

তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, দুর্বল একটি ব্যাংককে সঙ্গে নিয়ে সবল ব্যাংকের লাভ কী হবে?

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সাথে একীভূত করার প্রক্রিয়া চলছে
ছবির ক্যাপশান,দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সাথে একীভূত করার প্রক্রিয়া চলছে

ভালো ব্যাংক কী সুবিধা পাবে?

দুর্বল ব্যাংকগুলোর সংকট কাটিয়ে তোলার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত বছর একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন বা পিসিএ নামক ওই ফ্রেমওয়ার্কের ওপর ভিত্তি করেই এ বছরের শুরু থেকে ব্যাংক একত্রীকরণের তোড়জোড় দেখা যায়।

গত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ব্যাংক-কোম্পানি একত্রীকরণের একটি নীতিমালাও প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সবল ব্যাংকগুলোকে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নীতি সহায়তা দেয়ার কথা বলা হয়েছে নতুন নীতিমালায়।

এতে বলা হয়েছে, “ভালো ব্যাংকটি দুর্বল ব্যাংকের কার্যক্রম তথা আমানত, গ্রাহক, শাখার নেটওয়ার্ক,অপারেশন,কৌশল, গবেষণা ও আধুনিক প্রযুক্তি ও একই কারিগরি সিস্টেম এবং ব্যবস্থাপনার আরও ভালোভাবে ব্যবহার করে সাশ্রয়ী ব্যয়ে আরও বড়, দক্ষ ও শক্তিশালী হওয়ার কারণে দুই ব্যাংকেরই লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।”

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলছেন, এই নীতি সহায়তাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একত্রীকরণ থেকে লাভবান হতে পারবে দুর্বলদের দায়িত্ব নেয়া ব্যাংকগুলো।