আগামী সপ্তাহে শুরু হচ্ছে লোকসভা ভোট (Loksabha Election)। দিল্লির কুর্সিতে তাঁরা কাকে চান? EVM-এ সেই মত জানাবেন ভোটাররা। শেষ পর্বে প্রচারে ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দলগুলি।

রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের ভবিষ্য়ৎ যাঁদের ওপর নির্ভর করছে, সেই ভোটাররা কী ভাবছেন? তাঁদের পছন্দের পাল্লায় কারা এগিয়ে? তার আভাস পেতে এরাজ্য়ের ৪২টি আসনে সমীক্ষা চালিয়েছে সি ভোটার। ৫ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল, অর্থাৎ গত ৩ মাস এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। ১ লক্ষ ১১ হাজার ২৫৬ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। তবে এই সমীক্ষা কোনওভাবেই রাজনৈতিক ভবিষ্য়দ্বাণী নয়। ভোটের ফল কী হতে চলেছে, তার পূর্বাভাসও নয়। বরং ভোটারদের মন বোঝার একটা চেষ্টা মাত্র। 

একনজরে C Voter সমীক্ষা 

লোকসভা কেন্দ্রসম্ভাব্য জয়ীরাজনৈতিক দল
আলিপুরদুয়ারমনোজ টিগ্গাবিজেপি
কলকাতা উত্তরসুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়তৃণমূল
মালদা দক্ষিণইশা খান চৌধুরীকংগ্রেস
ঝাড়গ্রামপ্রমথ টুডুবিজেপি
জয়নগরপ্রতিমা মণ্ডলতৃণমূল
ঘাটালদেবতৃণমূল
মুর্শিদাবাদ আবু তাহেরতৃণমূল
রানাঘাটজগন্নাথ সরকারবিজেপি
আসানসোলশত্রুঘ্ন সিনহাতৃণমূল
বাঁকুড়া সুভাষ সরকারবিজেপি
ব্যারাকপুর অর্জুন সিংবিজেপি
বনগাঁশান্তনু ঠাকুরবিজেপি
জঙ্গিপুর খলিলুর রহমানতৃণমূল
কাঁথিসৌমেন্দু অধিকারীবিজেপি
উলুবেড়িয়াসাজদা আহমেদতৃণমূল 
যাদবপুর সায়নী ঘোষ তৃণমূল
কোচবিহার নিশীথ প্রামাণিকবিজেপি
বারাসাত কাকলি ঘোষ দস্তিদারতৃণমূল
বিষ্ণুপুরসৌমিত্র খাঁবিজেপি 
আরামবাগঅরূপকান্ত দিগারবিজেপি
বীরভূমশতাব্দী রায়তৃণমূল

সি ভোটারের এবারের সমীক্ষাতেও একাধিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি এখনও প্রার্থীই দেয়নি। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর নাম জানার পর, ভোটারদের প্রতিক্রিয়া এখনকার তুলনায় পাল্টাতেই পারে। এছাড়াও যে সময়ের মধ্য়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তখনও অবধি আসানসোলে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। ভূপতিনগরে NIA-র ওপর হামলা হয়নি।তৃণমূলের তরফে NIA-র SP এবং বিজেপির মধ্য়ে আঁতাঁতের অভিযোগ তোলা হয়নি।সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্ট CBI তদন্তের নির্দেশ দেয়নি। অমিত শাহ এরাজ্য়ে ভোটপ্রচার শুরু করেননি। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের ধর্না ঘিরে ধুন্ধুমার বাধেনি। বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে যুক্ত ২জন বাংলা থেকে ধরা পড়েনি। অর্থাৎ, সি ভোটারের সমীক্ষায় এই ঘটনাগুলির কোনও ছাপ পড়েনি। অথচ, এই প্রত্য়েকটি ঘটনাই রাজনীতির অনেক অঙ্ক উল্টেপাল্টে দিতে পারে। এক্ষেত্রে আরও একটা বিষয় এবার অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাহল, এবার লোকসভা ভোট চলবে ৪৪ দিন ধরে। অর্থাৎ দেড় মাস ধরে। ১৯ এপ্রিল ভোট শুরু হবে উত্তরবঙ্গ দিয়ে। আর কলকাতায় ভোট রয়েছে শেষ দফায় পয়লা জুন। এই ৪৪ দিনে, কোনও ঘটনার জেরে, বা কোনও ইস্য়ুকে ঘিরে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে যেতেই পারে। আর তেমনটা হলে ভোটারদের মনোভাবও পাল্টে যেতে পারে। তাই শেষ অবধি কী হয়, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা অবধি।