ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। মিসাইলের আঘাতে ইজরায়েলের সুরক্ষা ব্যবস্থা, আয়রন ডোমও ভেঙেছে। একাধিক ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ইজরায়েলের আকাশে আয়রন ডোম ভেদ করে আছড়ে পড়ছে মিসাইল।

 সত্যি হল আশঙ্কা। সত্যি সত্যিই ইজরায়েলের উপরে হামলা চালাল ইরান। শনিবার রাতে ইজরায়েলের উপরে একসঙ্গে মিসাইল ও বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোন নিয়ে হামলা চালাল ইরান। কমপক্ষে ২০০টি মিসাইল দিয়ে হামলা করা হয়েছে ইজরায়েলের উপরে, এমনটাই দাবি। ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। মিসাইলের আঘাতে ইজরায়েলের সুরক্ষা ব্যবস্থা, আয়রন ডোমও ভেঙেছে। একাধিক ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ইজরায়েলের আকাশে আয়রন ডোম ভেদ করে আছড়ে পড়ছে মিসাইল। ইরানের এই হামলাতেই তৈরি হয়েছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা। অন্যদিকে, আমেরিকা ইজরায়েলের পাশেই দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে।

গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তা সময় কাটার সঙ্গে সঙ্গে আরও জটিল হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতেই ইজরায়েল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসের উপরে হামলা চালায়। এরপরই পাল্টা মোক্ষম জবাবের হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। আশঙ্কা ছিল, হুশিয়ারির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হয়তো হামলা চালাবে ইরান, কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই হামলা চালাল ইরান।

ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ-ও ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ইরানের ছোড়া অধিকাংশ মিসাইলই আয়রন ডোমে আটকে যাচ্ছে। যেক’টি মিসাইল আছড়ে পড়ে, তাতে এক শিশু গুরুতর জখম হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ইজরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানিয়েছেন, ইরান শতাধিক গ্রাউন্ড টু গ্রাউন্ড মিসাইল ছুড়েছে। অধিকাংশ মিসাইলই ধ্বংস করে দেওয়ার ফলে ইজরায়েলি সেনায় খুব একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

এদিকে, ইরানের তরফে আমেরিকাকে এই সংঘর্ষে নাক না গলানোর সতর্কতা দেওয়া হলেও, যুদ্ধে আমেরিকা ইজরায়েলের পাশেই দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলতে পারেন।