প্রথম ম্যাচে টসে জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে ৭১ রানে ৭ উইকেট হারায় সফরকারীরা। এরপর টেনেটুনে মাত্র ১২৪ রান তোলে স্কোর বোর্ডে। জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেটে বড় জয় তুলে নেয় টাইগাররা। বলার অপেক্ষা রাখে না প্রথম ম্যাচেই হয়েছে বোলারদের সক্ষমতার পরীক্ষা। দুই উইকেট হারালেও জয় তুলে নিতে খেলতে হয় ১৫.২ ওভার। ওপেনার তানজিদ হাসান তামীম অর্ধশতক হাঁকান একাধিকবার জীবন পাওয়ার পর। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও টসে জিতে বোলিং নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। গতকাল ব্যাট করতে নেমে ৪২ রানে পাঁচ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত করে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান।
বিজ্ঞাপনবলার অপেক্ষা রাখে না এদিনও বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ শুরু এনে দেন দলকে। কিন্তু প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। সবশেষ টাইগাররা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ হেরেছে টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। ওপেনার লিটন দাস, শান্ত, তাওহীদ হৃদয়রা ছিলেন ফর্মের বাইরে। এই সিরিজেও ওপেনার লিটন দাস সেই ব্যর্থতা থেকে বের হতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে এক রান করেই ফেরেন সাজঘরে। অধিনায়ক ২২ রান করে বিদায় নেন।
তবে অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিমের ফিফটিতে ভর করে সহজেই জয় পায় দল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে টসে জিতে ব্যাটিং নিলে ব্যাটারদের সক্ষমতা যাচাই হয়ে যেতো বিশ্বকাপের আগে। ব্যাট করে বড় স্কোর করতে পারলে আত্মবিশ্বাসটাও বাড়তো। যদিও দলীয় একটি সূত্রের দাবি- পরে ব্যাট করে জেতার চ্যালেঞ্জটা নেয়া বেশি দরকার। কারণ, বিশ্বকাপে এমন নয় যে আমরা সব ম্যাচেই টসে জিতবো। সেখানে রানও কিন্তু অনেক বেশি হবে। তাই ক্রিকেটারদের সেই চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আর প্রধান কোচতো নিশ্চয় একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।’ প্রধান কোচ চন্ডিকা হয়তো বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের চেজ করে জেতার মানসিকতাকে পোক্ত করছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে যে বেশ দুর্বল। তারা তো এবারেরর বিশ্বকাপেই কোয়ালিফাই করতে পারেনি। বাংলাদেশে এসে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে পড়েছে ব্যাটিং বিপর্যয়ে। অন্যদিকে যতটা ধারণা করা যায় বিশ্বকাপে হবে ব্যাটিং উইকেট। সেখানে ব্যাটাররাই সুবিধা বেশি পাবে।
তাই ব্যাটসম্যানদেরকে পরখ করে নেয়ার সুযোগ পেয়েও কেন টিমম্যানেজম্যান্ট নিচ্ছে না। দলীয় সূত্রের দাবি- বিষয়টি এভাবে ভাবলে হবে না। তার মতে, ‘টসে জিতে ব্যাট করতে নামলে ব্যাটারদের চাপটা কম থাকে। এমনওতো হতে পারতো যে ১২৪ রান তাড়া করতেই আরো বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলতো দল! পরে ব্যাট করার যে মানসিক চাপ সেটা জয় করাটাও প্রয়োজন আছে। আর এটা কেন ভাবছেন না যে দল সব ম্যাচে টসে জিতবে না। আমরা যে ম্যাচ গুলোতে সুযোগ পেয়েছি টসে জিতে সিদ্ধান্ত নেয়ার সেটাই করেছি। এমন হতে পারে না যে জিম্বাবুয়ে টসে জিতে তারাও ব্যাটিং নিলো বা আমাদের ব্যাটিংয়ে পাঠালো। আসলে আমি আবারো বলছি কোচের অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো সিরিজ জিতলে দলের মনোবল বাড়বে। জয়ের অভ্যাসটাও তৈরি হবে।’