বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় একটি মন্দিরে আগুন এবং সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হলেও এলাকায় উত্তেজনা পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে হিন্দু ও মুসলিম– উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘উদ্বেগ ও আতঙ্ক’ বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে বুধবার ফরিদপুরে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে ফরিদপুর সদরসহ মধুখালী উপজেলার বালিয়াকান্দি পঞ্চপল্লীর কাছে ও বাঘাটে বাজার এলাকায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে টহল পরিচালনা করছে।

স্থানীয় সাংবাদিক শ্রাবণ হাসান বিবিসি বাংলাকে জানান, প্রকাশ্যে উত্তেজনা না থাকলেও বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে এক ধরনের ‘চাপা ক্ষোভ’ বিরাজ করছে।

অন্যদিকে, হিন্দুরা আছেন অন্য ধরনের আতঙ্কে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা এবং মুসলিমদের দিক থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের মধ্যে।গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নে একটি মন্দিরের প্রতিমায় আগুন ও এরপর সন্দেহের জেরে দুজন শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

গতকাল স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান হত্যাকাণ্ডের শিকার দুই ভাই আশরাফুল খান ও আসাদুল খানের পরিবারের সাথে দেখা করেছেন।

মন্ত্রী আব্দুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে বিবিসি বাংলাকে বলেন, এই ঘটনাটি অবশ্যই পরিকল্পিত। তিনি মনে করেন, সেখানে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির জন্য এ ঘটনা ‘পরিকল্পিতভাবে’ ঘটানো হয়েছিল। তবে এই পরিকল্পনা কাদের তরফ থেকে করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

“এই দুঃখজনক ঘটনার সমবেদনা জানানোর তো আর ভাষা নাই। এটা তো একটা নৃশংস হত্যাকাণ্ডই বলবো,” বিবিসি বাংলাকে বলেন বলেন মন্ত্রী আব্দুর রহমান।