দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সবুজ ধরিত্রী’ কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হবে। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় আলোকসজ্জা বাদ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দ র‌্যালি করবে ছাত্রলীগ যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।

আজ সোমবার বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি জানান, ১১ মে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন আরো বিস্তারিত বলা যাবে।

দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী হীরক জয়ন্তী উদযাপন করা হবে। ২৩ জুন দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সারা বাংলাদেশে থানা উপজেলা ছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়েও এ কর্মসূচি পালন করা হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা হবে এদিন বিকালে। এতে নেত্রী, নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী, সমমনস্ক ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানাব। মসজিদ মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচেষ্টা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

‘আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না,’ এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এর আগে আমাদের সব অনুষ্ঠানেই বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি, এবারও বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হবে। অন্য রাজনৈতিক দলও পাবে।’

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ১৭ই মে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করব। সেদিন সকালে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো নেত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। সারাদেশে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করা হবে। দুপুরে দেশের মসজিদ মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচি পালিত হবে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১৬ই মে দুপুরে অসচ্ছল গরিব সাধারণ মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এদিন বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের অডিটোরিয়ামে। সাজসজ্জা যেটা হবে – ব্যানার ফেস্টুন, বিল বোর্ড আইল্যান্ডগুলো সজ্জিত করা হবে ১৭ তারিখে। আলোকসজ্জা কর্মসূচি থাকবে না।