ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট ৩ জারি করা হয়েছে।

তিনটি কনট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এর ফলে জেটিতে থাকা সব জাহাজের লোড আনলোড কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।জেটির বড় জাহাজগুলোকে ডাবল ইঞ্জিন চালু রাখা সহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে আগামী জোয়ারে। ক্রেনসহ সব হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট প্যাক করা হচ্ছে যাতে বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। বন্দর থেকে ডেলিভারি কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে বন্ধ করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্ক সংকেতের ভিত্তিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দর চ্যানেল, জাহাজ, জেটি, ইয়ার্ড, শেড, হ্যান্ডলিং ইকু্ইপমেন্ট নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক।  

তিনি জানান, শনিবার সকালে বন্দরের সব বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্ক সংকেতের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিভাগের করণীয় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

বন্দর সচিব বলেন, বন্দর চ্যানেলের সব লাইটার জাহাজ শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।