অবসরে যাওয়ার পরও বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী। রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রসঙ্গক্রমে তিনি সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে এ কথা বলেন।

এর আগে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণমূর্তি ভি সুব্রামানিয়ান।ডলারের দামকে আর চ্যালেঞ্জ হিসাবে বিবেচনা করছেন না অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘আইএমএফ অনেক দিন থেকেই ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করতে বলছিল। আমরা এটা করেছি। আইএমএফ এখন খুশি। অর্থাৎ আমরা ঠিক পথেই আছি।’

অর্থমন্ত্রী নিজেই হঠাৎ বলেন, ‘এখন ঋণখেলাপিদের ধরতে হবে।’ এরপর সাংবাদিকেরা তার কাছে জানতে চান কাজটি তিনি করতে পারবেন কিনা? জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দেখা যাক পারি কি না। আপনারা দেখছেন, সাবেক পুলিশপ্রধানের (বেনজীর আহমেদ) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তার কি ক্ষমতা কম ছিল?’

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আদালত যে ব্যবস্থা নিচ্ছেন, তাতে সরকারের সমর্থন আছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, সাবেক সেনাপ্রধান কি ধরা পড়েছেন? সব সম্পত্তি জব্দ করার যে আদেশ এসেছে? সাংবাদিকেরা জানান, সম্পত্তি জব্দের আদেশ এসেছে সাবেক পুলিশপ্রধানের।

দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গত সোমবার বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বিবৃতিতে আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য ঘোষণার করা হয়েছে। সাংবাদিকেরা এ তথ্য জানালে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধানও ধরা পড়েছেন; যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিলেও বিষয়টি তো জনসমক্ষে চলে এসেছে।’

সাংবাদিকেরা তখন বলেন, সাবেক সেনাপ্রধানের বিষয়ে সরকার তো কিছু করেনি। অর্থমন্ত্রী জবাবে বলেন, সরকার কিছু করেনি মানে সেনাবাহিনী কিছু করবে।

আজিজ আহমেদ তো এখন সেনাবাহিনীতে নেই বিষয়টি মনে করালে অর্থমন্ত্রী বলেন, অবসরে যাওয়ার পরও সেনাবাহিনী কিছু করতে পারে।