মিয়ানমারের ৮৫ শতাংশ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ এখন দেশটির জাতিগত বিদ্রোহী বাহিনীর হাতে চলে গেছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিগত বিদ্রোহী বাহিনী সমন্বিতভাবে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে সামরিক বাহিনীর দুর্বলতা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। বর্তমানে একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সামরিক বাহিনী। প্রায় প্রতিদিনই জান্তা কোনও না কোনও চেক পোস্ট, সামরিক ঘাঁটি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। এতে ক্ষমতাসীন জান্তার দুর্বলতা ক্রমেই ফুটে উঠছে, আর ধীরে ধীরে সবল হচ্ছে বিদ্রোহীরা। দেশটির স্বাধীন পরামর্শক গোষ্ঠী স্পেশাল অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল ফর মিয়ানমার (এসএসি-এম) এর প্রতিবেদন বলা হয়েছে, বর্তমানে ৮৬ শতাংশ অঞ্চলের শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি বিদ্রোহীদের হাতে চলে গেছে। এসব শহরে জান্তার আর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নেই।


প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাড়ে পাঁচ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে। সে সময় অং সান সু চি’র নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে হাটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী (জান্তা সরকার)। এরপর থেকে দেশজুড়ে শুরু হওয়া প্রতিবাদ নির্মমভাবে দমন করে জান্তা সরকার। দমনপীড়নের শিকার আন্দোলনকারীরা ও সু চি’র দলের নেতাকর্মীরা অস্ত্র তুলে নিয়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগে থেকেই সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে জাতিগত বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেয়। এই সম্মিলিত বাহিনী কয়েক দশকের মধ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

এসএসি-এম বলেছে, “মিয়ানমার রাষ্ট্রের মূল দায়িত্ব পালন করার মতো পর্যাপ্ত অঞ্চল আর সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণে নেই। জান্তা উল্লেখযোগ্য অঞ্চল ছেড়ে এসেছে এবং এখনও দেশের যেসব এলাকার তাদের উপস্থিতি আছে তার অধিকাংশেই আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।” সূত্র: রয়টার্স